গণমিছিলে হামলা সংঘর্ষ গুলি, পুলিশসহ দুই জন নিহত

বাংলাদেশ

খুলনা হবিগঞ্জ সিলেট রণক্ষেত্র, শিশু-সাংবাদিকসহ বহু গুলিবিদ্ধ, এমপির বাসায় ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ অফিস ও পুলিশের গাড়িতে  আগুন, শিক্ষার্থী-পুলিশসহ  আহত দুই শতাধিক

গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় সংঘর্ষে খুলনা ও হবিগঞ্জে ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সিলেট ও লক্ষীপুরে সংঘর্ষ হয়েছে। অনেক জায়গায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় এক শিশু ও সাংবাদিকসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কমপক্ষে দুই শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হবিগঞ্জে এক এমপির বাড়িতে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

খুলনা অফিস জানায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সুমন নামে একজন পুলিশ কনস্টেবল নিহত এবং অন্তত ২৫ জন পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক আহত হয়েছে।  দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত  ৮টা পর্যন্ত দীর্ঘ দুই পক্ষের সংঘর্ষে নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহতদের মধ্যে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র শফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আফরান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাইয়াজ, নর্থ ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফিদ, সেন্ট যোসেফ স্কুলের ছাত্র মুগ্ধ, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইউসুফ, স্কুল ছাত্র জাহিদুল (১৫), মাদ্রাসা ছাত্র সৌরভ (১৩), রনি (২০) নীরব (২১) এবং পুলিশ সদস্য সোহাগ, রাজু আহমেদ ও মাজহারুল ইসলামের নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ছাত্রীও রয়েছে। আহতদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। রাত সাড়ে ৮ পর্যন্ত একজন ছাত্রী, একজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল সুমনের নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে সংঘর্ষকালে পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় নগরীর গল্লামারী এলাকায় পুলিশের একটি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খুলনা মহানগরীর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীর এম এ বারী সড়কের কাচা বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলছিল। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে রয়েছে। তাদেরও সাজোয়া যান নিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানেও টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়ে মাইকে ঘোষণা করেন, খুবির বেশ কিছু শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় আটকে পড়েছে। আপনারা তাদের উদ্ধার করে খুবি ক্যাম্পাসে পৌঁছে দিন। এছাড়া খুবির ৬জন ছাত্রী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়ে খুলনা ক্যাম্পসে আটকা পড়েছেন। তাদের সহপাঠীরা অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে সহযোগিতা চান। এদিকে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় কে বা কারা অফিসটি ভাঙচুর করে।

সিলেট অফিস ও শাবি প্রতিনিধি জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের অন্তত তিনটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ বাধে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি এতে শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন রাত সোয়া ৭ টায় ঐ শিশুটির গায়ে স্লিন্টার লেগেছে। আমরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। সে এখন শঙ্কামুক্ত। তিনি জানান, সংঘর্ষে ৭-৮ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোটা সিলেট নগরীতে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে শাবি গেট থেকে আখালিয়া মদিনা মার্কেট এলাকায় মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল পর্যন্ত  রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দু‘ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের বহু আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফয়সল আহমদ জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। এসময় পুলিশের গুলিতে এক শিশু আহত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ তাদের ১০ জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের তেমুখি এলাকায় পুলিশের সাথে জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এর আগে কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  দুই শতাধিকের মত জনতা রাস্তা ব্লক করে পিকেটিং করে। তখন পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলেও জনতা রাস্তা ছাড়েনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, বিকালে শাবি গেট এলাকা থেকে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল কর্মসূচি শুরু হলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত।  শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে,  শন্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ পিছন থেকে তাদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার সেল, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এ সময় বহু  শিক্ষার্থী ও  পথচারী আহত হন।  দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি মিঠু দাস জয়সহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। বিকাল চারটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে  ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শিক্ষার্থীদের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে শহরের তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। নিহত মোস্তাক মিয়া (২৮) পিডিবির অস্থায়ী কর্মচারী। এসময় আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মাঝে অনেকেই রয়েছেন গুলিবিদ্ধ। পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। দুপুর সোয়া ২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোমিন উদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত মোস্তাক মিয়ার পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা আসছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির ডান দিকের পিঠে এবং ডান হাতে গুলির আঘাত রয়েছে। মোস্তাক সিলেট জেলার টুকেরবাজার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বাদ জুমা শহরের কোর্ট মসজিদ চত্বর ও শহরের অপর প্রান্তে খোয়াই নদীর তীরে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে গণমিছিলের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বেলা আড়াইটার দিকে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের হলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারীরা এসে তাদের ধাওয়া দেয়। তখন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের বাসার সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা এমপির বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে বিকেল সোয়া ৪টায় পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে। তারা রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে তমিজ মার্কেট এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর বাসার সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে জেলা শহরের চক মসজিদ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু নামাজ শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বের হয়ে মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন এবং তাদের দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।  এ সময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারমুখী ছিলেন। তারা মসজিদের সামনে থেকে বাজারের বিভিন্ন সড়কে শ্লোগান দিয়ে সাধারণ মুসল্লি ও আন্দোলনের উদ্দেশে আসা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। পরে তারা টিপুর বাসায় অবস্থান নেন। এদিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মিছিল শেষ হলে আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের করেন। মিছিলটি উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর বাসার সামনে গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা  ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। তারা ৭-৮ জন শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

চট্টগ্রাম অফিস জানায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা মোড়ে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। সেখান থেকে নিউমার্কেট, টাইগারপাস, দামপাড়া ওয়াসা মোড়, মুরাদপুর হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বহদ্দারহাটে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটি দামপাড়া অতিক্রম করার সময় উত্তেজিত ছাত্র জনতা পুলিশ জাদুঘরের সাইনবোর্ড এবং ওয়াসা মোড় ও জিইসি মোড়ে দু’টি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকলেও কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. তারেক আজিজ।  এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে নারী সমাবেশ হয়েছে। বিকালে নগরীর জামালখান এলাকায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্রতিবাদী নারী সমাজের’ ব্যানারে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে শিক্ষিকা, গৃহিণী, ব্যাংকার, শিল্পী, ছাত্রী, নাট্যকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিপুলসংখ্যক নারী অংশ নেন। সমাবেশে নুরুন নাহার নামে এক নারী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের গুলি, হত্যা, হামলা, গণগ্রেফতার ও সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে আজ আমরা মায়েরা রাজপথে এসেছি। আমাদের সন্তানরা রাজপথে এখন একা নয় আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।’

বরিশাল অফিস জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে জুমার নামাজের পরে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের গেট থেকে একটি মিছিল বের হয়। এতে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এসময় তাদের সাথে অভিভাবকরাও যোগ দেন মিছিলে। পরে তারা মিছিল নিয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কের দু-পাশে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে।

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর  জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার, আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি সহ বিভিন্ন দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে রংপুর মহানগরীর পার্ক মোড়ে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রার ব্যানার নিয়ে একত্রিত হন।এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

পিরোজপুর অফিস জানায়, ৯ দফা পূরণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে । দুপুরে জেলা শহরের সি-অফিস মোড়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে মিছিলটি শহরের পুরাতন বাসস্টান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, মাইজদীতে ছাত্র জনতার গণ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে  সুধারাম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে কেউ আহত হয়নি। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *