রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছেন বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনে তাঁরা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা তাঁরা শুনেছেন। তবে এখনো অনেক ছাত্রসহ সাধারণ জনতাকে অবৈধভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তাঁদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়।
ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে আজ বেলা দেড়টার কিছু পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, এই ছয় শিক্ষার্থী যাতে স্বাধীন পরিবেশে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যার বিচার দাবি করেন বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ক্ষেত্রে তাঁরা জাতিসংঘের মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত দাবি করেন।
মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গুলি করে শিশুসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যার তদন্ত জাতিসংঘের অধীনে করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, এই হত্যার বিচার করতে হবে। হুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি পুলিশ চাই না। আমরা বাংলাদেশের পুলিশ চাই। আপনার (পুলিশ) জনগণের জন্য কাজ করবেন। বাংলাদেশের পুলিশ হবেন।’
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন, সামিনা লুৎফা প্রমুখ।