মুক্তি পেলেন ৬ সমন্বয়ক

বাংলাদেশ

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে তারা ডিবি কার্যালয় থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে যান।

এর আগে সমন্বয়কদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা দেখা করতে যান। একাধিক গাড়িতে করে পরিবারের সদস্যসহ ডিবি অফিস থেকে রওনা দেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় ডিবি কার্যালয় থেকে ফোন দিয়ে সবার পরিবারকে আসতে বলা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে ডিবির গাড়িতে বাসায় দিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, ডিবিতে থাকা ছয় সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে গত শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে আনা হয়। তারা হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের।

এর পরেরদিন সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আসে ডিবি। এরপর রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকেই এসব সমন্বয়ক ডিবি কার্যালয়ে আছেন। ডিবির দাবি করেছে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে এসব সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন দুই আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

গত ৫ জুলাইয়ের পর থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকেন তারা। পরবর্তীতে এই আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুর ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়। যা মোকাবিলায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে সরকার। যা বর্তমানে অনেকটা শিথিল রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *