‘কি চাইছিলাম, আর কি হলো! এর বিচার আল্লাহ ছাড়া কার কাছে চাইব?’

বাংলাদেশ

নিহত ইমতিয়াজের বাবার আকুতি

 

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দেউলী গ্রামের কৃষক নওশের আলী সন্তান ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির। বাইশ বছর বয়সী ইমতিয়াজকে নওশের আলীর পরিশ্রমের টাকায় পড়াতেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু কোটা আন্দোলনে ইমতিয়াজ চলে যান না ফেরার দেশে। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ কৃষক নওশের আলী। সন্তানের কথা ভেবে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নওশের, বলছেন- ‘আল্লাহ, কি চাইছিলাম, আর কি হলো! এর বিচার তুমি ছাড়া কার কাছে চাইব?’

গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ডালিম। পরে বন্ধুদের সহায়তায় ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ওইদিনই জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ জুলাই ইমতিয়াজকে সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। বুধবার ইন্টারনেট আংশিক খুলে দেওয়ার পর সে গুরুত্বর আহত হওয়ার খবর দেউলী গ্রামে পরিবারের আসে। প্রায় সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ডালিম। ঢামেক আইসিইউতে শুক্রবার (২৬ জুলাই) ভোররাত ৪টার মারা যান তিনি।

ইমতিয়াজ আহমেদ জাবিরের চাচাতো ভাই ইমন হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। শনিবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *