বাংলাদেশের জন্য সুপার এইটের দরজা খুলে গেল

খেলা

আমি আগেই বলেছিলাম, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা যখনই খেলি, ভালো ক্রিকেট খেলি। জয়ের অনেক সম্ভাবনা তৈরি করি, তাদের আমরা হারিয়েছিও অনেক। খুব ভালো লড়াই হয়। ব্যাক টু ব্যাক আইসিসি ইভেন্টে আমরা জিতলাম। ২০২৩ এ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। এবার টি টোয়েন্টিতেও।

অসাধারণ একটা জয় আমরা পেয়েছি। শান্তর নেতৃত্ব বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে, বোলার পরিবর্তন আর ফিল্ডিং পজিশন দারুণ-বিশেষ করে ১৫তম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেওয়া। প্রথম বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসালাঙ্কা। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে হাসারাঙ্গার জন্য একজন স্লিপে ফিল্ডার রেখেছিলেন। সেটা কিন্তু কাজে লেগেছিল। পাশাপাশি মোস্তাফিজকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এটারও প্রশংসা করতেই হয়।

তবে আরেকটু ভালো মতো জিতলে ভালো লাগত। যে টার্গেট ছিল যদি হাতে ৩ থেকে ৪টি উইকেট থাকত, আরও কয়েকটি বল আগে জিততাম তাহলে আত্মবিশ্বাসটা আরো বাড়ত। উইকেটও যে খুব খারাপ ছিল তা মনে হয়নি। সৌম্য আরও একটা সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেছে। আট বছর ধরে সে বাংলাদেশ দলে খেলছে। তাকে কোচ-অধিনায়ক এত সমর্থন দিচ্ছেন। তার একটু মাথা খাটিয়ে খেলা উচিত ছিল। তানজিদ তামিম একটা বিশ্বকাপ খেলেছে। বড় মঞ্চের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। দ্রুত শিখতে হবে।

তিনি একেবারে ভুল শট খেলে আউট হয়েছেন। হাফ ভলি বল ছিল, সুন্দর ড্রাইভ করতে পারত। শান্তও যে বলে আউট হয়েছে, একেবারে সফট ডিসমিসাল। বাউন্ডারি বের করার মতো বল ছিল। যেহেতু আমাদের ওভার প্রতি ৬ রান করে দরকার ছিল, কোন তাড়াহুড়োর প্রয়োজন ছিল না। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ব্যাটিং করেছে লিটন। তবে তাওহীদ হৃদয় অন্যদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছে। ঐ জায়গায় ম্যাচটি ঘুরে গেছে। তবে এ জয়টা দলগত প্রয়াসের ফল বলব আমি।

তবে এই জয়টা আমাদের দরকার ছিল। আমরা এখন ভালো মতোই সুপার এইটের রেসে আছি। পরের রাউন্ডে যেতে এই ম্যাচটা জিততেই হতো। বেশির ভাগ মানুষ ধরেই নিয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা জিতব না। তারা বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ। সে হিসেবে এই জয়টার কারণে সুপার এইটের দরজা খুলে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি নিউ ইয়র্কে হবে। সেখানকার উইকেট কিন্তু ডাবল পেসের। ব্যাটাররা ধোঁকা খাবে। তবে সাহসী ক্রিকেট খেলা উচিত। কারণ এ মাঠে সহজ হবে না। ব্যাটিংটা আরও ভালো করতে হবে। নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে খেলব। একেবারে ভিন্ন কন্ডিশন। ওরাও আমাদের ভালো চ্যালেঞ্জ দিতে পারে। নেদারল্যান্ডসের কাছে আমরা আগেও হেরেছি।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আজ

একটু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও বলতে চাই। অবশ্যই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ। মানুষের আগ্রহও অনেক বেশি। তবে আইসিসির ইভেন্টে এ দুই দলের লড়াইয়ে ভারত বরাবরই ফেভারিট। অতীত রেকর্ড তাই বলে। আর পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে। তাদের এটা বাঁচা-মরার লড়াই। সুপার এইটে যেতে হলে জিততেই হবে। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, পাকিস্তান কিন্তু আনপ্রেডিক্টেবল দল। এ ম্যাচে তাদের সেরা খেলাটা আসতেই পারে। আর দর্শকদের একটা বড় সমর্থনও ভারতের পক্ষে থাকবে। আমার কাছে মনে হয় ভারতের জেতার সম্ভাবনা বেশি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *