কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে গায়ানা থেকে সেন্ট কিটসের বিমানে চড়বে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে রয়েছেন তিনি। তার রয়েছেন সঙ্গে রিশাদ হোসেন আর আফিফ হোসেনেরও। কিন্তু রংপুর রাইডার্সের খেলোয়াড় সংকটের কারণে বিসিবির বিশেষ অনুমতিতে ফাইনাল খেলেছেন এই তিন ক্রিকেটার।
যে কারণে থেকে যাওয়া, সেটি দারুণভাবেই কাজে লেগেছে সৌম্য ও রংপুরের জন্য। গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। যে জয়ে ৫ ছক্কা ৭ চারে ৮৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে রংপুর। অধিনায়ক নুরুল হাসানের এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বানিয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২৪ রান এনে দেন সৌম্য ও স্টিভেন টেলর। ১৪তম ওভারের শেষ বলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেলর আউট হলেও সৌম্যকে আউটই করতে পারেনি ভিক্টোরিয়া। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া এই বাঁহাতি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৪ বলে ৮৬ রান করে। সৌম্যর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি ২০তম ফিফটি। প্রথম সেঞ্চুরির স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে গেছে আরও একবার। তবে দিন শেষে হেসেছেন সৌম্যই। তাঁর ইনিংসই গড়ে দিয়েছে রংপুরের জয়ের ভিত্তি।
১৭৯ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৭ ওভারের মধ্যে ১ উইকেটে ৬৫ রান তুলে কক্ষপথেও ছিল অস্ট্রেলিয়ার দলটি। কিন্তু পরের পাঁচ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৯ রানে পরিণত হয় ভিক্টোরিয়ার স্কোর। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। ১৮.১ ওভারে অলআউট হয় ১২২ রানে।
এই জয় রংপুরকে এনে দিয়েছে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের ট্রফি আর রংপুরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ট্রফি। এর আগে ২০১৭ সালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
৫ দলের গ্লোবাল সুপার লিগে লিগ পর্বে চার ম্যাচের প্রথম দুটিতেই হেরেছিল রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটিকে ভিক্টোরিয়াও হারিয়ে দিয়েছিল ১০ রানে। তবে শেষ দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ও পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত ট্রফিতেই হাত রেখেছে রংপুর। ম্যাচসেরার পাশাপাশি মোট ১৮৮ রান করে টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন সৌম্য।
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৭৮/৩ (সৌম্য ৮৬, টেলর ৬৮, মাডসেন ১০; ড্রেকস ১/২০)। ভিক্টোরিয়া: ১৮.১ ওভারে ১২২ (ক্লার্ক ৪০, ম্যাকডোনাল্ড ১৬; হারমিত ৩/১৯, সাইফ ২/২১, মেহেদী ২/২০, রিশাদ ২/২৬)। ফল: রংপুর রাইডার্স ৫৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ফাইনাল: সৌম্য সরকার। প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: সৌম্য সরকার।