ফের আলু রপ্তানি বন্ধ করলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার

বাংলাদেশ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও বাংলাদেশে আলু রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে অভ্যন্তরীণ সংকটে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। ফলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে বন্দরের খুচরা বাজারে ভারতীয় আমদানিকৃত আলু কেজিতে ৩/৪ টাকা এবং পেঁয়াজের কেজিতে ১২/১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, গত শনিবার ও রোববার ভারতীয় আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ বিক্রি হচ্ছে ৬৪/৬৫ টাকায়। আর পেঁয়াজ কেজিতে ১২/১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা দরে। এর আগে এই পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। নতুন আলু বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোন সম্ভাবনা নাই।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলাদেশে আলু রপ্তানি না করার ক্ষেত্রে আলুবাহী ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ রেখেছে। একারণে সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আলু আমদানি হচ্ছে না। যার ফলে আলুর দাম বাড়ছে। আবার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করবে এমন খবরে মোকামে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হবে এটা একটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভারতে যে পরিমাণ আলুর এলসি করা আছে তা আমদানি করা না হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বন্দরের আমদানিকারকরা।

ভারতের হিলির রপ্তানিকারক পাপ্পু জানান, শুধুমাত্র আলু রপ্তানি হবে না। রাজ্যের আলু বাংলাদেশে রপ্তানি করায় নাকি অভ্যন্তরীণ সংকটে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলু রপ্তানিতে ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে। তবে পেঁয়াজ এখনো রপ্তানি হচ্ছে। পেঁয়াজ অন্য রাজ্য থেকে আসে। তাই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার কোন সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নেয়নি।

এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, গত শনিবার ও রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩২ ট্রাকে ৯২৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৬৬ ট্রাকে ২ হাজার ৩৫ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *