সিরাজগঞ্জে মৌসুমি পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। নানা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কৃষকরা। তবে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন বীজের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে পেঁয়াজ ১ হাজার ৬৮ হেক্টর ও রসুনের ৯ শত হেক্টর, আলু ২,৪৫৫ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই কৃষকেরা লাভজনক পেঁয়াজ রসুন চাষাবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে এর বীজ মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ প্রতি কেজি গড়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও রসুনের বীজ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
রসুন ও পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী কাজিপুরের নাটুয়াপাড়া, মেছড়া সিরাজগঞ্জ সদর থানার কাওয়াকোলাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ করছে। তবে চলনবিল এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১ বিঘা জমিতে রসুন চাষাবাদে প্রায় ৪০ হাজার এবং পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুন ও পেঁয়াজের বীজের দাম অনেকটাই বেশি। বীজের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় চাষাবাদে কৃষকেরা কিছুটা বিপাকে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চলনবিল এলাকায় বিনা চাষে রসুনের চাষ শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহিদ সরকার বলেন, জেলায় পেঁয়াজ ১ হাজার ৬৮ হেক্টর, রসুনের ৯ শত হেক্টর ও আলু চাষের ২ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ চাষাবাদে উত্সাহিত করতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুন ও আলু বীজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রসুন, পেঁয়াজ ও আলু চাষে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।