সহসা চালু হচ্ছে না রামগড় স্থলবন্দরের কার্যক্রম

বাংলাদেশ

সহসা রামগড় স্থলবন্দরের কার্যক্রম তথা, আমদানি-রপ্তানি বা যাত্রী পারাপার কোনটাই শুরু হচ্ছে না।  তবে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘এ বন্দর চালু হলে ভারতের  সাথে বাংলাদেশের  আন্ত:বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। এতে দুই দেশেই লাভবান হবে।’

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রামগড়ে স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব জানান।

বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার চালুর তারিখ ঘোষণার পরও  না হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কাজ  শেষ হওয়ার পরই তো চালু হলে ভাল।
বর্তমান কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর ও রামগড় একই প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও স্থলবন্দর স্থাপিত হয়েছে। তবে রামগড় স্থলবন্দরের কন্ট্রাকশন, ডিজাইন ও প্লানিং সব কিছুই চমৎকার।’

বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান শুক্রবার দুপুরে রামগড়ে পৌঁছে প্রথমেই স্থলবন্দরের নির্মাণাধীন বন্দর ভবন, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ইত্যাদি উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান কাজ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন করবেন। তার পরিদর্শনের আগে কাজের অগ্রগতি ও প্রাক প্রস্তুতি দেখতেই বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শুক্রবার এ স্থলবন্দর ঘুরে গেছেন। তবে উপদেষ্টার পরিদর্শনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান (পিডি) মো. সরোয়ার আলম বলেন, ‘রামগড় স্থলবন্দরের বিষয়ে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। তিনি এ বন্দর দেখতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

তিনি আরও জানান, ভারতের সাথে সংযুক্ত অন্যান্য স্থানের প্রকল্পের কাজ স্থগিত থাকলেও রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ যথারীতি চলছে। দ্রুতই কাজ হচ্ছে। বন্দরের সাথে সংযুক্ত রামগড় বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজও অব্যাহত আছে। এ সড়ক প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে রামগড় স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের চলমান কাজও সমাপ্ত হবে।

প্রসঙ্গত, রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলমান অবস্থায় গত ১৪ আগস্ট যাত্রী পারাপার কার্যক্রম(ইমিগ্রেশন) চালুর দিন-তারিখ চূড়ান্ত করে দুই দেশের সরকার। কিন্তু ৫ আগস্ট গণ বিপ্লবে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর চালুর সিদ্ধান্ত ভেস্তে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *