সাবিনারা নামছেন ট্রফি ধরে রাখার মিশনে

খেলা

উপমহাদেশের নারী ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান অনন্য উচ্চতায়। ২০২২ সালে এই নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উপমহাদেশের ফুটবলে আলোড়ন তুলেছিল। ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার দিনে পুরো দেশবাসী অভিনন্দন জানিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা ঢাকায় ফিরলে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে মতিঝিলের বাফুফে ভবন পর্যন্ত সড়কে যানবাহন থেমে গিয়েছিল।

সেই সাফ জয়ী বাংলাদেশ আজ নেপালে আরেকটি সাফের অভিযানে নামবে। আবার সেই নেপালের কাঠমান্ডুতে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। খেলা শুরু হবে ৬টায়।

গত সাফে ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সাত দেশই অংশগ্রহণ করেছিল এবং বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেবার পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই পাকিস্তান আর বর্তমান পাকিস্তানের মধ্যে পার্থকম রয়েছে। একাধিক ফুটবলার ইউরোপে খেলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডেও খেলেন। এবার তাদেরকে খুঁজে খুঁজে আনা হয়েছে। পাকিস্তানি ফুটবলারদের শারীরিক উচ্চতাও বেশ ভালো।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বাস্তবতা মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে কম্পিটিটিভ ম্যাচ হবে। কম্পিটিটিভ ম্যাচ হলে প্লেয়ারদের উন্নতি হয়। প্রথম টার্গেট হচ্ছে গোল আদায় করা। সবাই সেফ জোনে থাকতে চায়।’ সাবিনা বলেন, ‘পাকিস্তানের গতবারের দলের চেয়ে এবারের দলে বিস্তর ফারাক আছে। ম্যাচ সহজ হবে না। আর আমাদের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ, যেহেতু প্রথম ম্যাচ জিতলে সেমি- ফাইনাল নিশ্চিত হবে, জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। বাংলাদেশে গ্রুপে রয়েছে ভারত।

সাফের উদ্বোধনী খেলায় ভারত ৫-২ গোলে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে আজ জিততেই হবে। জিতলে অন্য কোনো সমীকরণের প্রয়োজন হবে না। ড্র হলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ঝুলে থাকবে বাংলাদেশ। আগের সাফে রক্ষণে আঁখি খাতুন এবং আক্রমণভাগে সিরাত জাহান স্বপ্না ছিলেন। তারা নেই দলে। আঁখির জায়গায় খেলবেন আফিদা খন্দকার। আফিদার এটি প্রথম সাফ। আর স্বপ্নার জায়গায় খেলবেন রিতুপর্ণা চাকমা। এবারের সাফে একাধিক নতুন ফুটবলার রয়েছেন। তারা একাদশের বাইরে রয়েছেন। বদলি খেলতে নামলে অভিষেক হবে।

গত তিন দিন আনফার মাঠে অনুশীলন করলেও গতকাল নেপালের একটি স্কুল মাঠে প্রথম অনুশীলন করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গ্রুপে তিন দল। সাথে ভারত ও পাকিস্তান। এক ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল। জিতলে ফাইনাল। বাংলাদেশ ভাবছে সেমিফাইনালে যেন কঠিন প্রতিপক্ষ না হয়। বিশেষ করে নেপালকে এড়াতে চায় সাবিনারা। নেপালের খেলার দিনে স্টেডিয়ামে উপচে পড়া দর্শক থাকে। বাড়তি চাপ থাকে। ২০১০ সালে প্রথমবার উপমহাদেশের নারী ফুটবলারদের নিয়ে
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল কক্সবাজারে।

সেবার নেপালের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল। ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়। ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরে বিদায় হয় বাংলাদেশের। ২০১৬ সালে প্রথমবার ফাইনালে খেলে এবং ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়। ২০১৯ সালে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় হয় বাংলাদেশের। ২০২২ সালে এসে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *