নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে জ্যোতিদের চোখে ছিল প্রথম বারের মতো সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন। শুরুটাও হয়েছিল সেই রকমই। দ্বিতীয় ম্যাচে আশা জাগিয়েও একটুর জয় হাত ছাড়া হয়। লক্ষ্য ছিল শেষ দুই ম্যাচ দিয়েই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করবে।
তবে তাদের এই পথ কঠিন করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীরা। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ছেলেখেলা করে বড় জয় তুলে নিয়েছেন। তাতে বাংলাদেশ প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। তবে খাতা-কলমে এখনো টিকে রয়েছে সম্ভাবনা, তবে সমীকরণ বেশ কঠিন। তা মাথায় নিয়েই আজ ‘বি’ গ্রুপের নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবেন টাইগ্রেসরা।
শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত ৮ টায় সেমিফাইনালে যাওয়ার কঠিণ সমীকরণ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে জ্যোতির দল। টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচে শুধু জিতলেই চলবে না, ব্যবধান রাখতে হবে অনেক বড়। আসরে উড়তে থাকা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যা করা খানিকটা কঠিনই ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের জন্য।
এই মুহূর্তে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের পয়েন্ট ৩ ম্যাচ শেষে ২, রানরেট -০.৮৩৫। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ পয়েন্টের পাশাপাশি রানরেট রয়েছে +১.৫২৭। শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জেতে এবং এই রানরেট টপকে যায় তবেই থাকবে সুযোগ। তখন নির্ভর করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচের ফলের ওপরে। সেটি বাংলাদেশের অনুকূলে থাকলেই মিলবে সেমির টিকিট।
নতুবা এই ম্যাচই হবে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। তবে কঠিন সমীকরণেও প্রোটিয়াদের হারানোর সম্ভাবনা দেখছেন টাইগ্রেস হেড কোচ হাসান তিলকরত্নে। তাকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে গত বছরের শেষ দিকে বেনোনির ম্যাচটি। ঐ সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি- টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন জ্যোতিরা। তার মধ্যে প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিল জয় শুধু তাই নয়, সিরিজটি শেষ হয় ১-১ সমতায়।
শনিবারের ম্যাচের আগে ঐ সিরিজের জয়কেই স্বরণ করছে টাইগ্রেস কোচ। দুবাইয়ে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেলব। গেল বছরও আমরা তাদের ঘরের মাটিতে হারিয়ে এসেছিলাম। এবারও আমরা এই লক্ষ্যই এগোবো এবং ভালো একটি ম্যাচ খেলব।’