‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’

বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সুরক্ষার অভাব ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েরা যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এই ধরনের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে এবং খুব কম ক্ষেত্রেই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়। আইনের আশ্রয় চাইলে পালটা হেনস্তার ভয়ে মেয়েরা নীরবে এসব সহ্য করে। তাদের যন্ত্রণা প্রকাশের জন্যও কোনো নিরাপদ স্থান নেই।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় তাকে জেলে পাঠানো হলেও মুক্তি পেয়ে আবারও তিনি একই বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান।

এর আগে ২০১৮ সালে কুষ্টিয়ায় আগের চাকরিতেও তার বিরুদ্ধে একই অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে বরখাস্ত করার পরিবর্তে একটি মেয়েদের বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল করা হলো?

চলমান তদন্তে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে আইন অনুযায়ী শাস্তির পরিবর্তে অভিযুক্ত শিক্ষককে পিটিয়ে মারার ঘটনায়ও নিন্দা প্রকাশ করেন শাহীন আনাম। তিনি মেয়েদের বিদ্যালয়ে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনার দাবি তোলেন এবং আহ্বান জানান, যেন নিয়োগের সময় রেফারেন্স চেকিং বাধ্যতামূলক করা হয়।

সেই সঙ্গে তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি সম্পর্কিত হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান, যেখানে যৌন হয়রানি আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে শাস্তিযোগ্য হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *