মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগিতে ৩৬ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বন্যায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারো মানুষ। আল জাজিরার শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় উত্তর ভিয়েতনামে এখন পর্যন্ত ২৫৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। সেখানে ৮২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত এবং ৮২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। লাওস ও থাইল্যান্ডেও নিহত হয়েছেন অনেক। তবে অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে মিয়ানমার ফায়ার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট (এমএফএসডি) বুধবার জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণের মান্দালয় অঞ্চলের ইয়ামেথিন টাউনশিপে প্রবল বন্যায় পাঁচটি গ্রামের ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৫৩ হাজার ৯২৭ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে বন্যার প্রভাব পড়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে। নেপিডোর তাতকন টাউনশিপে বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকে গাছে আশ্রয় নিয়েছেন।

গণমাধ্যমের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ের মধ্যকার রেল পরিবহন সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। নেপিডোর পুরোনো ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় মহাসড়কও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়াবিদ ইউ উইন নাইং দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, টাইফুন ইয়াগির পরিপ্রেক্ষিতে মান্দালয়, সাগাইন ও মগওয়ে অঞ্চলে আরো ভারী বৃষ্টিপাত হবে।

এর আগে উজান থেকে পানি ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত জুলাই মাসে ইরাবতী নদীর তীরবর্তী শহর ও গ্রামের হাজারো মানুষও প্রবল বন্যার শিকার হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *