কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়েছেন সজীব কাজী নামে এক চিকিৎসক। ঘটনার পর মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা থেকে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসাররা।
হামলার শিকার সজীব কাজী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও সিসিইউতে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে চিকিৎসকরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করায় বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা জনসাধারণ। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ডেঙ্গুসহ নানা রোগের প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসা বন্ধ থাকায় এসব রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম আতঙ্কিত সময় পার করছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনরা সিসিইউতে প্রবেশ করে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। পরে চিকিৎসক সজীবকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে টেন-হেঁচড়ে মারতে মারতে চারতলা থেকে নিচে নামিয়েও মারধর করতে থাকে। এ সময় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অন্য চিকিৎসকরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। রাত একটার দিকে চিকিৎসকের উপর হামলা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
কক্সবাজার হাসপাতালের সব ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং মেডিকেল অফিসাররা জানিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের কোন নিরাপত্তা নেই। কোন কারণ ছাড়া হামলার শিকার হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রাতে একজন চিকিৎসককে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে। যেভাবে তাকে মারা হয়েছে তাতে তার মৃত্যু হতে পারতো। আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। তাই যতক্ষণ ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হবে ততক্ষণ আমরা কর্মবিরতি করবো।
তারা সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সকল ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আশিকুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত চিকিৎসক সজীবের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে এখন জরুরি বিভাগসহ সব ধরণের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ডাক্তার সেবা না দিলে সমস্যা তো হবেই। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের।