নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তাদের আমানতের ০.৫০% থেকে ৫% প্রভিশন বজায় রাখতে হবে।
তবে, প্রভিশনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা খেলাপি ঋণের শ্রেণিবিন্যাসের ওপর নির্ভর করে ২০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ৪ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চের শেষ পর্যন্ত এ খাতে প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শ্রেণিকৃত ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর (১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা বা ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ), বিশেষায়িত ব্যাংক (৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ), বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ) এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৩ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ ঋণ রয়েছে।