বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি কুমিল্লায়, ঘরে ফিরছেন মানুষ

বাংলাদেশ

কুমিল্লা: কুমিল্লায় কয়েকদিন বন্যার পানি স্থির থাকার পর গত দুই-তিনদিনে দ্রুত কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে মানুষজন।

ইতোমধ্যে বেশকিছু আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ ঘরে ফিরেছেন। বিশেষ করে কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ঘরে ফিরে যেতে তাদের আরও তিন থেকে পাঁচদিন সময় লেগে যেতে পারে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) নাঙ্গলকোটের জোড্ডা বাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও আলিম মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায়, ওই দুই আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ জনের মতো মানুষ রয়েছে। দুইদিন আগেও সেখানে চার শতাধিক মানুষ ছিল। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সাড়ে তিনশ মানুষ ঘরে ফিরেছে। জোড্ডার উত্তরের সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রায় খালি হয়ে গেছে। দক্ষিণের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষজন কমতে শুরু করেছে।

নাঙ্গলকোটের জোড্ডা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক আনিসুল হক বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে প্রতিদিন চারশ মানুষের খাবার দিতে হতো। শুক্রবার ৪৮ জনকে খাবার দিয়েছি।

এদিকে কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, বরুড়ার উঁচু এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও ধীরে ধীরে খালি হতে শুরু করেছে। গোমতী তীরবর্তী উপজেলা বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগরেও বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, নিচু এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষজন রয়ে গেছেন। অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকার লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। আরও দুইদিন খরা থাকলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *