আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নইলে সে কিভাবে এতো টাকা পায়? তার এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। তৎকালীন সময় আমরা বলেছিলাম আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হবে না।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ হঠাৎ করে আলাদিনের চেরাগের মতো ক্ষমতায় আসেনি। অনেক আন্দোলন আর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। আজকে দলের অনেক নেতারা দুঃসময় দেখেননি। তাদেরকে বলবো- সবাইকে দলের ইতিহাস জানতে হবে। দলের লক্ষ্য ও দর্শন জানতে হবে। কোনো নির্ধারিত ভাইয়ের নামে স্লোগান দিয়ে দলের ক্ষতি করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মনে রাখতে হবে- ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও জনগণের দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা কি বলতে পারবো সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশ থেকে শেষ হয়ে গেছে? তা আমরা নিশ্চিত বলতে পারবো না। কারণ তারা এখনো সক্রিয় আছে। এই অপশক্তিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য দেশের তরুণ সমাজ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি বক্তব্য অনুসরণ করতে হবে। তার বক্তব্যে যে সকল নির্দেশনা রয়েছে- তা দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মেনে চলতে হবে।
একপর্যায়ে বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রে কত বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তা সবার জানতে হবে। বিএনপির আমলে কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো? আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন- তা জানতে হবে। শুধু নিজেরা জানলে হবে না, সবাইকে জানাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ রাখা যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দিয়েছে। জনগণের রায়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এমপি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু, এমপি ঝর্ণা হাসান, সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শ্যামল ব্যানার্জি, ফারুক হোসেন, মাসুদুল হক, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজীব।