টানা ২৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি ফাইনালে খেলবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। পুরো একটা অর্ধ এক জন কম নিয়ে খেলেও অজেয় যাত্রা ধরে রাখল কলম্বিয়া। উরুগুয়ের বিপক্ষে রক্ষণে দেখাল দুর্দান্ত দৃঢ়তা। ২০০১ সালের
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে উত্তাপ ছড়ানো দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে কলম্বিয়া। প্রথমার্ধে হামেস রদ্রিগেসের চমৎকার কর্নারে দারুণ ক্রসে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন হেফারসন লের্মা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া। লাতিন আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এটি তাদের তৃতীয় ফাইনাল। ১৯৭৫ সালে পেরুর বিপক্ষে হেরেছিল তারা। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে হারিয়েছিল অতিথি দল মেক্সিকোকে।পর তারা প্রথমবার জায়গা করে নিল ফাইনালে।
২০২২ সালে লিওনেল স্কালোনির দলের বিপক্ষে হারার পর থেকে টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে কলম্বিয়া। গত কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে মেসি-দি মারিয়াদের বিপক্ষেই সেমি-ফাইনালে হেরে স্বপ্ন ভেঙেছিল তাদের।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় মিনিটে হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দানিয়েল মুনিয়োস। এক জন বেশি থাকার সুবিধা দ্বিতীয়ার্ধে কাজে লাগাতে পারেনি উরুগুয়ে।
নর্থ ক্যারোলিনার ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধে তো বটেই প্রথমার্ধেও অনেক সুযোগ হাতছাড়া করে উরুগুয়ে। প্রথম ১৭ মিনিটে খুব ভালো জায়গা থেকে দুটি শটের কোনোটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দারউইন নুনেস।
৩৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেসের কর্নারে সবচেয়ে উঁচুতে লাফিয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন লের্মা। চলতি আসরে এটি কলম্বিয়া অধিনায়কের ষষ্ঠ অ্যাসিস্ট।
৬৭তম মিনিটে মাঠে আসেন অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারেস। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু উরুগুয়েকে হতাশ করে বল ফেরে পোস্ট লেগে।
শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর দুটি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন কলম্বিয়ার মাতেউস উরিবে।
ম্যাচ শেষে মাঝমাঠে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। অন্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে প্রায় ২৩ বছর পর ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে কলম্বিয়া।