স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো আর দিতে চায় না পরীক্ষার্থীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা চান, ইতিমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।
শিক্ষার্থীদের একটি দল ভেতরে প্রবেশ করার পর জিপিও ও পল্টনের মাঝামাঝি মুক্তাঙ্গণের পাশে এই ফটকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তারা ছয় নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এক পর্যায়ে সেখানে বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে মানতে হবে’; ‘দাবি হালকাভাবে নিলে, গদি যাবে চলে’; ‘আমার ভাই হাসপাতালে, আমরা কেন পরীক্ষার হলে’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছেন।
সচিবালয়ের ফটকে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, তারা কোনও নির্দেশনা পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এভাবে আসলে দায়িত্ব পালন করা যায় না।
উল্লেখ্য, আজকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আগের যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো সেখানে এখন চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। তবে পরীক্ষার সময় পূর্ন সময়েই থাকবে।