বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা উভয় দেশের জনগণের স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষার জন্য তাদের সাথে কথা বলছি, যাতে এটি উভয় দেশের জনগণের সুরক্ষা ও উন্নয়নকে শক্তিশালী করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানানো হয়, সমস্ত নাগরিকের সুরক্ষা দেওয়া প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে.. আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আমাদের হাইকমিশনার তাদের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে সীমিত আকারে ভিসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ফিরে এলে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু হলেই পূর্ণাঙ্গ ভিসা সুবিধা চালু হবে। আমাদের হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশন কনস্যুলার ও অন্যান্য সেবা দিচ্ছে।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য শুরু হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ট্রাক চলাচল করছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশের জনগণের অবিচল সমর্থক এবং তাদের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সন্ধানে তা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মোদি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে ভারতের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
ফোনালাপে মোদি বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে এবং বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। সংক্ষিপ্ত নোটিশে ৫ আগস্ট ভারতে যান তিনি। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের (৮৪) নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট।