শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার কার্যক্রম শেষ হলেই ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনটি জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সিতেশ চন্দ্র বাছার। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা হলে বৈধ সিট বরাদ্দের জন্য আবেদন করছেন। এই মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট বরাদ্দের কার্যক্রম শেষ হতে পারে।
অধ্যাপক সিতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা কাজ করছি। যাদেরকে নিয়ে ক্লাস করব তারা যদি না আসে, তবে আমরা ক্লাস শুরু করতে পারি না। বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর কার্যক্রম শেষ হলেই আমরা ক্লাস শুরু করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবগুলো হলেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখনো হলে ফিরছেন না। আবার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী যুক্ত ছিলেন তারা কেউই হলে ফেরেননি।
ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সূর্য সেন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি ৭ঠিকই,কিন্তু কখনো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করিনি। আমি ভেবিছিলাম, যারা শিক্ষার্থীদের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের হলে ওঠার বিষয়ে বাধা দিবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই হলে উঠতে দিচ্ছেন না। অনার্স শেষ হওয়ার আর মাত্র কিছু দিন আছে, এই কয়েক দিন বাইরেই কোথাও বাসা নিয়ে থাকতে হবে।
হলগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর পরিবেশ এখন একেবারেই শান্ত। বৈধ ছাত্ররাই হলে অবস্থান করছেন। বৈধ সিট বরাদ্দ দেওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজ থেকে গিয়ে কোনো রুম দখল করছেন না বলে জানিয়েছেন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কেউ রুম দখল করতে চাইলেও সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করছেন।
বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী হাসিব ইসলাম বলেন, মোজাম্মেল নামে চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী হল খোলার পরেই এসে একটি রুম দখল করে নেন। শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে সেদিনই রুমটি পুনরুদ্ধার করেন। আমরা চাই হল চলবে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে। আগে থেকে গিয়ে যদি কেউ রুম দখল করে, তবে সেই ছাত্রলীগের কালচার ফিরে আসবে ৷ হল প্রশাসন থেকে বৈধ সিট বরাদ্দের পরই আমরা বৈধ রুমে গিয়ে উঠব।