টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর লম্বা বিরতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা। এর ধারাবাহিকতায় কানাডার গ্রোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান ও শরীফুল ইসলাম। দুজনই খেলেছেন বাংলা টাইগার্সে।
সেখানেও এক বিতর্কে জড়ান সাকিব। এর ব্যাখ্যা দিতে দিয়ে শরীফুল জানান নিয়ম অনুযায়ী সঠিক কাজটি করেছেন দলটির অধিনায়ক সাকিব। টুর্নামেন্টে বৃষ্টিবিঘ্নিত এলিমিনেটর ম্যাচে সুপার ওভার খেলতে চান তিনি। এতে জয় পায় টরন্টোকে। পরে সেই টরন্টোই চ্যাম্পিয়ন হয়।
গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের তিন ছিল সাকিব-শরীফুলের বাংলা টাইগার্স। আর পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ দল টরন্টোর বিপক্ষে খেলার কথা ছিল এলিমিনেটর ম্যাচ। বৈরি আবহাওয়ার কারণে মাঠে গড়ায়নি ম্যাচটি। নিয়ম অনুযায়ী পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যাওয়ার কথা ছিল সাকিবদের।
তবে ভিন্ন সিদ্ধান্ত দেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। সুপার ওভার খেলার প্রস্তাব দেন তারা। এ দিকে আইসিসির নিয়মে রয়েছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফলাফলের জন্য উভয় ইনিংসে অন্তত ৫ ওভার হতে হবে। তা না হলে কোনোভাবেই ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়াবে না। সেই হিসেবে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার কথা।
যদিও সুপার ওভার খেলার প্রস্তাব দেন আম্পায়াররা। নিয়মে না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে সুপার ওভার খেলতে রাজি হননি সাকিব। এতে বাদ দেওয়া হয় তার দলকে। দেশে ফিরে সাকিবের সিদ্ধান্তের পর নিজের মতামত জানান শরীফুল।
বাঁহাতি এ পেসার বলেন, ‘আমার মনে হয় যেটা নিয়মে ছিল না, এক ওভারের একটা ম্যাচ। এজন্য মনে হয় আমরা টসে যাইনি। আমার মনে হয় না কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ম্যাচ ছাড়া সুপার ওভার হয়। এজন্যই আমাদের টসে যাওয়া হয়নি। তারপরে কি হয়েছে আমি নিজেও জানি না।’
যদি গণমাধ্যমে খবর আসে সাকিবের কারণে বাদ পড়েছে বাংলা টাইগার্স। এর ব্যাখ্যা শরীফুল বলেন, ‘আসলে কোনও দিন কোনও জায়গায় ম্যাচ না হয়ে এক ওভারের সুপার ওভার হয়নি। তাই উনার দিক দিয়ে (সাকিবের) ঠিকই ছিলেন। এটা যদি নিয়মে থাকত তাহলে উনি ঠিকই খেলতেন।’
বাংলা টাইগার্স খেলতে রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের টিকিট পায় পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা টরন্টো ন্যাশনালস। পরে শিরোপাও জিতে তারা। যদিও ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয়তে থাকায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার কথা ছিল সাকিব-শরীফুলের দলের।