স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১০ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। এরপর গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট আবারও চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিগগিরই আগামী এক মাসের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা হবে।
পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে, অটোপাস দেওয়া হবে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সোমবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত নম্বরে মূল্যায়ন সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ইস্যু করা নয়।
সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে আর ও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ড, সিলেট বিভাগের আওতাধীন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পরে শুরু হয়।
পরীক্ষা চলাকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ওই সময় আন্তশিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত আগামী ৪ আগস্ট থেকে অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। আগামী ১১ আগস্ট থেকে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচি অনুযায়ী শুরু হবে।’
এরপর গত ৭ আগস্ট অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।