আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বিলুপ্ত হয় সেই সংসদ। নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার।
ফলে তার ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। দুটি প্রশ্ন সামনে আসে, সাকিব কি সুযোগ পাবেন জাতীয় দলে? নাকি নিজ থেকে অবসর নেবেন জাতীয় দল থেকে? তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য সাকিবকে রেখে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দল ঘোষণা পরদিন সোমবার (১২ আগস্ট) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাকে দলে রাখার ব্যাখ্যা দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, যোগাযোগ ছিল। গত মাসেও ছিল এ মাসেও হয়েছে। প্রসেস হলো যে দেশের বাইরে কোনো খেলোয়াড় যদি থাকে তার সম্বন্ধে খোঁজ খবরটা নেওয়া। এ ছাড়া শরিফুলের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
তিনি দলের সঙ্গে অনুশীলন না করা সাকিবকে রাখার ব্যাখ্যা দেন, ‘এটা তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। তার পারফরম্যান্স দিয়ে সে নিজেকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে। অভিজ্ঞতা রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সবকিছু মিলিয়ে তিনি যাচ্ছেন।’
এ সময় প্রধান নির্বাচক আরও যোগ করেন, ‘অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’