দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শপথ নেবেন বলে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বিচারপতি রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অব টাফ্টস ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। সৈয়দ রিফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি হংকং এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২৭ এপ্রিল ২০০৩ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২৭ এপ্রিল ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে হাইকোর্ট বিভাগেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে। তার মা জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
এর আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভের মুখে দুপুর আড়াইটার দিকে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান। এরপর বিকালে আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
এই পাঁচ বিচারপতি হচ্ছেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
তবে বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের একমাত্র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম পদত্যাগ করেননি। রাত ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন।