কাতারের রাজধানী দোহায় ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুর ওয়াহাব মসজিদে শুক্রবার (২ আগস্ট) হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য খালিল আল হাইয়া। গতকাল কাতারে দ্বিতীয় জানাজার পর হানিয়াকে দাফন করা হয়।
হানিয়াকে গুপ্ত হত্যার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান ও হামাস। এরই মধ্যে ইরান জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যাকারী দেশকে কঠোর মূল্য দিতে হবে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও।
হানিয়াকে হত্যার জেরে ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ইরান ও তাদের মিত্রবাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে ইসরায়েল।
এসব হুমকির জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের হুমকি থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষায় সব ধরনের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী সবদিক থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
সতর্কাবস্থায় থাকার ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিমিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে ইসরায়েল উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। আমাদের ওপর যেকোনো দিক দিয়ে যেকোনো আগ্রাসনের উচ্চ মূল্য নেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ইরানি কর্মকর্তারা বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে ইসরায়েলে হামলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, হামাস প্রধান হানিয়া নিহত হয়েছেন বলে ইরান ঘোষণা দেওয়ার পরপরই খামেনি বুধবার সকালে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ আদেশ দেন।