টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইলন ইন্টারনেট চালু হলে অব্যবহৃত ডাটার বদলে ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা বোনাস দেওয়া হয়। তবে দেশের অধিকাংশ গ্রাহক তা থেকে ৫০০ এমবিও ব্যবহার করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি ও অভিযোগ করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ জুলাই বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়।
যদিও রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলাতেই ইন্টারনেট সচল হয়নি। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন গ্রাহক তার অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা সচল করতে পারেন। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত দেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিটি অপারেটর ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা বোনাস দেবে।
মান্থলি প্যাকেজ (৩০ দিনের) ব্যবহারকারী ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা দেওয়া হয়েছে। যদিও টেলিটক এখনও গ্রাহকদের বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএসে নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩ এমবিপিএস।
ফলে ইন্টারনেট ডাটা খরচই করতে পারেননি গ্রাহকরা। গতকাল বোনাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহকের অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে ৪ জিবি ইন্টারনেট ডাটা।
বিবৃতিতে বেশকিছু দাবি তোলা হয়। আগামী দুই দিনের মধ্যে এসব দাবি না মানলে আগামী রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।
দাবিগুলো হচ্ছে –
ফোরজি গাইড লাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন গতি ২০ জিবিপিএস দিতে হবে। গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জুলাই মাসের বিল ৫০ শতাংশ কম আদায় করতে হবে।সড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল তল্লাশি করার নামে সাধারণ গ্রাহকদেরকে হেনস্তা করা যাবে না।