পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি

বাংলাদেশ

উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ৯টায় দশমিক ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন চা, পাথর, কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠাণ্ডায় অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কয়েকদিন ধরে মাঝদুপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে দিন পার করছেন এই জেলার হতদরিদ্র মানুষ।

শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীদের ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *