বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য চীনের যে বিনিয়োগ, দেশের উন্নয়নে সেটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। দেড় ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হওয়া বৈঠকটি শুরু হয় বেলা ১১টায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি আরও বলেন, বহু আগে থেকেই চীন সবসময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি তারা আগেও দিয়েছেন, এখনো দিচ্ছেন। একইসঙ্গে চীন সারা বিশ্বে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেটাও আমরা এপ্রিশিয়েট করছি। বিশেষ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীন যেভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছে সেটার জন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সঙ্গে চীনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্ক গভীর থেকে গভীর হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ওয়ান চায়না পলিসিতে বিএনপি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছে, আমরা এখনো সেই ঘোষণাটা আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই।
এদিকে, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা এবং পর্যালোচনা করেছি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপি এক সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে আমরা আজকে আলোচনাও করেছি। এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও সুদৃঢ় করে আমরা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ততার কথাও বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।